শেখ আজমল হুদা, সময় প্রতিদিন:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের মানুষ আজ স্বস্তি অনুভব করছে, কারণ তাদের পাশে আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ। তিনি শুধু প্রশাসক নন, একজন অভিভাবক, একজন মানবিক ব্যক্তি। তাঁর উদ্যোগে বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙছে, ঈদের সময় যাতায়াত ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরছে, আর দরিদ্রদের মুখে ফুটছে হাসি। গরিবের খুবই আপনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ ৩১ মার্চ সোমবার ঈদের দিনে তিনি অসহায়, এতিম ও দুঃস্থ মানুষদের খুঁজে বের করে নিজ হাতে ঈদবস্ত্র ও খাবার তুলে দেন। তার এই মানবিক উদ্যোগ ঈশ্বরগঞ্জে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে ঈদের আনন্দ কেবল বিত্তবানদের নয়, সবার জন্য।
সমাজের জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ এ আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, উলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ মানুষও অংশ নেন। শুধু এতিম ও দুঃস্থদের জন্য নয়, বরং উপস্থিত সবার জন্যও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এতে ঈদের আনন্দ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
একজন প্রকৃত মানবিক কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ তিনি ঈশ্বরগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার জায়গা করে নিয়েছেন। তার প্রতিটি কাজই প্রমাণ করে যে, যদি ইসলাম নীতিতে দেশ পরিচালিত হয়, তবে সমাজে শান্তি ও কল্যাণ আরও বেড়ে যাবে। ঈশ্বরগঞ্জের মানুষ তার এই মহতী উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ এবং তার মানবিক কর্মকান্ডে আশার আলো দেখছে।
মো. হাসান বলেন, সমাজের অসহায়, দুস্থ ও এতিম মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির এরকম সুন্দর উদ্যোগে খুবই ভালো লেগেছে, এরকম ভাল মনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যেকটি উপজেলায় থাকুক এমনটায় প্রত্যাশা করছি।
আবুল কাসেম নামে এক বৃদ্ধ বলেন, টিওএনও (ইউএনও) অনেক বালা মানুষ, আমাকে একহান তপন (লুঙ্গী) দিছে, দুপুরের খানা খাওয়াইছে যাইবার সময় টেহাও (টাকা) দিছে, আগেতো এরকম কিছু পাইলাম না, দোয়া করি।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ক্যাম্প কমান্ডার, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি, আলেম উলামা, রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।