শেখ আজমল হুদা, সময় প্রতিদিন:ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী আফসার বাহিনীর প্রধান সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিনকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৪এপ্রিল) উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগন। জানাযায়, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ
শেখ আজমল হুদা, সময় প্রতিদিন:
ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী আফসার বাহিনীর প্রধান সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিনকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৪এপ্রিল) উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগন।
জানাযায়, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ভালুকার প্রাণ পুরুষ কিংবদন্তী আফসার বাহিনীর প্রধান সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ দক্ষিণের প্রায় ৭৫০ কি. মি. এলাকা জোরে সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এক অনিয়মত আফসার বাহিনী গঠন করে ৮ ডিসেম্বর ভালুকাকে স্বাধীন করেছিলেন। যেখানে পুরো বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয়ে ছিল। মুক্তিযুদ্ধে মেজর আফসার উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন সন্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে মেদুয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী ওই ইউনিয়নের পানিভান্ডা গ্রামে একটি পাবলিক মঞ্চে দাড়িয়ে বিশেষ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিনকে ‘‘শুকর ও ভাটপার’’ বলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার ভালুকা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ভালুকা উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমেদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিনের কন্যা রহিমা আফরোজ শেফালী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের আকুল আবেদন, বিতর্কিত জেসমিন নাহার রানীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানহানী মামলার বিচারের মুখোমুখি করে জোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন মো. আফতাব উদ্দিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. জহির রায়হান, মোছা. লিলিমা আক্তার মিলি, মো. বদরুল হাসান, মো. মনোয়ার হোসেন রবিন, মো. অলিউল্লাহ পাঠান প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আলীনূর খান জানান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে একটি স্বারক লিপি পেয়েছি, স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই করে দেখবো, তাদের অভিযোগের ভিত্তিগুলো জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানাব এবং পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *