শেখ আজমল হুদা, সময় প্রতিদিন:ময়মনসিংহ ভালুকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ক্যাম্প ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ডা. মোশায়েদ রহমান মুন ও আইকন চক্ষু হাসপাতাল এবং আইকন এইড ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিলো এই ক্যাম্প। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করেন, জাতীয় চক্ষু ইনিস্টিউট
শেখ আজমল হুদা, সময় প্রতিদিন:
ময়মনসিংহ ভালুকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ক্যাম্প ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ডা. মোশায়েদ রহমান মুন ও আইকন চক্ষু হাসপাতাল এবং আইকন এইড ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিলো এই ক্যাম্প।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করেন, জাতীয় চক্ষু ইনিস্টিউট হসপিটালসহ সুনামধন্য হসপিটালের চিকিৎসকরা। এসময় দূর দূরান্ত থেকে আসা ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা, ঔষধ ও চশমা দেওয়া হয়।
রোগী দেখেন আল নূর চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট, ফ্যাকো এবং অকুলোপ্লাষ্টি সার্জন ডা. আশফাক রহমান খাঁন, ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট, ফ্যাকো ও রেটিনা সার্জন ডা. এ এইচ এম এহসানুর রেজা, জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের জুনির কনসালটেন্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. হেলাল মাহমুদ আরাফাত, আইকন আই হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. রাজীব সাহা প্রমুখ।
মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আগত মোছা. শেফালী আক্তার (৪০) বলেন, ছোট সময় আমার একটা দাঁত ফেলা হয় এর পর থেকে চোখে কম কম দেখি, আমাদের পাশ্ববর্তী ইউনিয়নে বিনামূল্যে চক্ষু সেবার কথা শোনে আজকে চোখ দেখাতে যাই, কোন টাকা পয়সা লাগে নাই।
শেলিনা আক্তার (৫৫) বলেন, আমি চোখে কিছু দেহি না, ডাক্তার কইছে আমার ছানি পড়ছে, ১৯ তারিখ ঢাহা (ঢাকা) লইয়া যাইবো, কোন টেহা পয়সা লাগতো না, আমি একটা উপকার পাইলাম, আমি গরীব মানুষ আমার অপারেশনটা যদি করে দেয় তাইলে আমি চোখে দেখমু আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।
ডা. মোশায়েদ রহমান মুন কালবেলাকে জানান, অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে ছানি রোগী বাছাই করে বাছাইকৃত ছানি রোগীদেরকে আইকন চক্ষু হাসপাতালে চোখের ছানি ও আধুনিক লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে অপারেশন করা হবে। রোগী পরিবহন, অপারেশন চলাকালীন রোগীর থাকা-খাওয়া, অপারেশনের পর রোগীদেরকে কালো চশমা ও ঔষধ সহ সব কিছু বিনামূল্যে করা হবে ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল হোসেন বলেন, নিঃসন্দেহে এই মহতি সেবামূলক উদ্যোগটি প্রসংসনীয় কাজ। আশা রাখছি তাদের জনসেবামূলক কর্মকান্ডটি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের পক্ষ থেকে তাদের এই কাজের প্রতি সর্বাত্বক সহযোগীতা থাকবে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *